শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৩০ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন চেয়েছেন ড. ইউনূস ধান ক্ষেত থেকে অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার জমি নিয়ে বিরোধ; দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত দোকান বাকীর টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ : বৃদ্ধ নিহত হবিগঞ্জে হত্যা মামলা, আ.লীগ সভাপতিসহ ২শ জন আসামি গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টে শামীম ওসমান লুকিয়ে থাকার গুঞ্জন, তাল্লাশি শেষে যা বলছে পুলিশ নগদ দুই লাখ টাকার বেশি তোলা যাবে না এ সপ্তাহে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সারাদেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর গণভবনের মাছ-হাঁসও নিয়ে গেল জনতা, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর গণআন্দোলনে শেখ হাসিনার পতন, ছাড়লেন দেশ

বাহুবলে উন্নয়ন কাজ শেষ না করেই ৫০ লাখ টাকার বিল!

বাহুবল ( হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি : বাহুবলে রাস্তার উন্নয়ন কাজ শেষ না করেই অর্ধ কোটি টাকার বিল উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া আলোচিত এ প্রকল্পের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের সামগ্রী। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা অভিযোগ ভাইরাল হলেও রহস্যজনক নিরবতায় কর্তৃপক্ষ।

উপজেলার মিরপুর চৌমুহনী থেকে মহাসড়ক পর্যন্ত আরসিসি ও পশ্চিম দিকে মহাসড়ক থেকে ধুলিয়াখাল রোডে উপজেলার সীমান্ত রাস্তা পর্যন্ত মেরামতের কাজ পায় মিজানুর রহমান শামীম এন্টাপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এর স্বত্বাধিকারী হচ্ছেন আবুল কাশেম নামের এক ব্যক্তি। চলতি অর্থ বছরে উক্ত রাস্তা মেরামতের জন্য বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে প্রায় দুই কোটি টাকা। ১ম ও ২য় দফায় কাজ করার আগেই প্রায় ৫০ লাখ টাকার বিল প্রদান করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এই বিলের মূল কারিগর হচ্ছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত বান্দরবন জেলার আলীকদম উপজেলা থেকে বদলী হয়ে বাহুবল উপজেলা প্রকৌশল অফিসে যোগদানকারী উপ-সহকারী প্রকৌশলী সিপন কুমার দাস।

মূলত: ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক সুবিধা প্রদানের জন্যই এই বিলের যাবতীয় ব্যবস্থা করেন তিনি। জানা যায়, প্রায় মাস খানেক পূর্বে ওই ঠিকাদারকে ১ম দফায় অগ্রিম বিল বাবদ ৩০ লাখ ও এর ২০/২৫ দিন পর আবারও ২য় বিল বাবদ ২০ লাখ মিলে প্রায় ৫০ লাখ টাকার বিল প্রদান করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার থেকে তড়িগড়ি করে লোক দেখানোর আরসিসি’র কাজ শুরু করা হয়েছে। এতে কাজের মান নিয়েও অভিযোগ রয়েছে।

এ ব্যাপারে এলজিইডি হবিগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল বাছিরকে বার বার ফোন করলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।
তবে সিলেট বিভাগীয় তত্বাবধায়ক আলী হোসেন চৌধুরীর ফোনে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, কাজ শেষ না করে বিল উত্তোলের বিধান নেই। তিনি বিষয়টির খোজ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করবেন বলে জানান।

অপরদিকে উপ-সহকারী প্রকৌশলী সিপন কুমার দাসকে ঢাকা প্রধান প্রকৌশলীর অফিস থেকে হবিগঞ্জ জেলা পরিষদে বদলীর আদেশের পরও তিনি রহস্যজনক কারণে নতুন কর্মস্থলে যোগদান না করে বাহুবলেই বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এসুবাদে তিনি সব অনিয়মকে নিয়ম করে অবৈধ কর্মকান্ডে লিপ্ত রয়েছেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com